গাজায় প্রাণহানি ৬১ হাজার ছাড়াল, অনাহারে মৃত শিশু বেড়ে ১০১

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার (১১ আগস্ট) পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ৪৯৯ জনে। আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আনা হয়। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৩৬২ জন। বহু মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপ ও সড়কে পড়ে থাকলেও ইসরায়েলি অবরোধ ও হামলার কারণে উদ্ধারকারী দল সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।

গাজায় মানবিক সহায়তা সংগ্রহ করতে গিয়ে আবারও প্রাণহানি ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সহায়তা নেয়ার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ২৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১২৭ জন। চলতি বছরের ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজার ৮০৭ জন, আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২১ জনেরও বেশি।

ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতাও গাজাবাসীর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন পাঁচজন, যার মধ্যে একজন শিশু। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা ২২২-এ দাঁড়িয়েছে, এর মধ্যে ১০১ জন শিশু।

প্রসঙ্গত, সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৯৮৯ জন নিহত ও ৪১ হাজার ৫৩৪ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি, গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (ICJ) বিচারের মুখোমুখি।