ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত টি–টোয়েন্টি ম্যাচে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে বিশাল ব্যবধানে। ম্যাচটিকে বলা যায় রানের ঝড় কিংবা রেকর্ড বই ওলট–পালটের আসর। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবে এক ম্যাচেই ইতিহাসে জায়গা করে নিল অসংখ্য নতুন রেকর্ড।
ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ৩০৪ রান। এটি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এবং পূর্ণ সদস্য দুই দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। স্বীকৃত টি–টোয়েন্টির সব ধরনের ম্যাচ হিসেব করলে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোর।
ফিল সল্ট খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। তিনি ৬০ বলে অপরাজিত ১৪১ রান করেন, যা ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এর আগে সল্ট নিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ১১৯ রান। তার ৩৯ বলে শতক ইংল্যান্ডের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি সপ্তম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
সল্টের ইনিংসের পাশাপাশি জস বাটলারও ছিলেন বিধ্বংসী। দুজন মিলে মাত্র ২০ বলেই গড়েন ৫০ রানের জুটি। এ দিন ইংল্যান্ড মেরেছে ৩০ চার ও ১৮ ছক্কা—মোট ৪৮ বাউন্ডারি। শুধুমাত্র বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ২২৮ রান, যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের জন্য ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল দুঃস্বপ্নে। কাগিসো রাবাদা চার ওভারে দেন ৭০ রান, যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং। একই ম্যাচে লিজাড উইলিয়ামস ৬২ এবং মার্কো ইয়ানসেন ৬০ রান দেন। টি–টোয়েন্টির ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দলের তিন বোলার একই ম্যাচে ৬০–এর বেশি রান হজম করলেন।
এই রানের পাহাড়ে চড়াই পেরোনো দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তারা নির্ধারিত ওভারে থেমে যায় ইংল্যান্ডের তুলনায় অনেক পিছিয়ে, ফলে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যায়। এটি ইংল্যান্ডের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয়। টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর লড়াইয়ে রানের ব্যবধানে এটি তৃতীয় বৃহত্তম জয়।
মোট রানসংখ্যার দিক থেকেও ম্যাচটি রেকর্ডবইয়ে জায়গা করে নিয়েছে। দুই দলের মিলিত রান হয়েছে ৪৬২, যা ইংল্যান্ডের মাটিতে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।