ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুর্নীতির তথ্য ভুল ও বিভ্রান্তিকর: টিআইবি

বাংলাদেশের দুর্নীতির ধারণা সূচক (CPI) নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত তথ্যকে “ভুল ও বিভ্রান্তিকর” বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির মতে, ওই প্রতিবেদনের তথ্যে ভুল উপস্থাপন দেশের বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝির ঝুঁকি তৈরি করছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে টিআইবি জানায়, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎকারের অংশ হিসেবে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে দেশীয় কয়েকটি শীর্ষ পত্রিকায় প্রতিবেদনটি পুনঃপ্রকাশ করা হলে বিষয়টি আরও বিভ্রান্তিকর আকার নেয়।

বিবৃতিতে টিআইবি ব্যাখ্যা করে, ১৯৯৫ সাল থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণা সূচক (CPI) প্রকাশ করে আসছে। বাংলাদেশ এই সূচকে প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয় ২০০১ সালে, এবং তখন তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সর্বনিম্নে। সেই সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। পরবর্তী সময়ে ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছিল, তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—বাংলাদেশ টানা পাঁচ বছর সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল—যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

টিআইবি আরও জানায়, আন্তর্জাতিক ওই সূচক নির্ধারণে সংস্থাটির (টিআইবির) কোনো ভূমিকা নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ অধ্যায়ও (টিআইবি) কেবল দেশীয় পর্যায়ে সূচকটি প্রকাশ করে মাত্র। সিপিআই নির্ণয়ে ব্যবহৃত তথ্য ও বিশ্লেষণ টিআইবি বা কোনো জাতীয় চ্যাপ্টার থেকে নেওয়া হয় না।

সংস্থাটি জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকদের সরাসরি অবহিত করে ভুল তথ্য সংশোধনের অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের পাঠক ও গণমাধ্যমগুলোকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে প্রকাশিত ভুল তথ্য শুধু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেই নয়, দেশের ভাবমূর্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এমন তথ্য প্রচারে সতর্কতা ও যাচাই নিশ্চিত করা জরুরি।