ইনকিলাব মঞ্চের সংগঠক ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্যুটার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ও তার সহযোগী মোটরবাইক চালক আলমগীর হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে রোববার ভোর রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দুজনেই ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে পৌঁছেছে। তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। আরও কয়েকটি হিট টিম দিয়ে একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির পরিকল্পনা চেষ্টা রয়েছে বলে তার দাবি।
এদিকে ফয়সাল তার ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছে, ব্যবহৃত অস্ত্র জ্যাম হওয়ায় সে মাত্র একটি গুলি করতে পেরেছে। তার মূল পরিকল্পনা ছিল চারটি গুলি করার। একই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ফয়সালের মতো অস্ত্রধারী আরেক ক্যাডার চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মো. সাজ্জাদকেও নজরে রাখা প্রয়োজন। গত ১৩ মে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রামে ফয়সাল আহমেদ শান্ত হত্যার মামলায়। তবে ২৯ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তিনি মুক্ত হয়েছেন।
জুলকারনাইন সায়ের তার পোস্টে জোর দিয়ে বলেন, বিভিন্ন মামলায় জামিন পাওয়া নিষিদ্ধ সংগঠনের অস্ত্রধারী ক্যাডারদের বর্তমান অবস্থান ও কর্মকাণ্ড তদারকি জরুরি।
তবে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীরা ভারতে পালিয়ে গেছেন কিনা, এমন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তালেবুর রহমান বলেন, হাদির গুলির মিশনে অংশ নেওয়া দুই অপরাধী এখনও অধরা। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছে কিনা? এমন তথ্যও নেই পুলিশের কাছে।