পিরোজপুরের কাউখালীতে জোলাগাতি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাউখালী উপজেলা জামায়েত ইসলামীর নেতা মাওলানা আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঘুষ গ্রহণসহ অবৈধভাবে আয়া নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী আয়া প্রার্থী মিনারার স্বামী মোঃ সামসুল হুদা অভিযোগে করেন, জোলাগাতী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় একজন আয়া নিয়োগের জন্য ২৭ মে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেয়ে আমার স্ত্রী অধ্যক্ষের বরাবরে আবেদন করেন। আবেদন পেয়ে অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহিম মিনার স্বামী হিসেবে আমাকে তার সাথে দেখা করার জন্য তার কাউখালী বাসায় ডাকেন এবং টাকার বিনিময়ে আমার স্ত্রীকে চাকুরি দিবেন বলে প্রস্তাব করেন। টাকা দিলে প্রশ্নপত্র আগে দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করার বিষয় নিশ্চিত করে নিয়োগ দিবেন। তার কথায় রাজি হয়ে পরীক্ষার আগের দিন রাতে অধ্যক্ষ তার চাহিদা মতো টাকা কাউখালীর বাসায় গিয়ে টাকা দিয়ে আসি। ২২ আগস্ট শুক্রবার পরীক্ষায় ৪জন অংশগ্রহণ করলেও তার দেওয়া প্রশ্নের সাথে কোন মিল ছিল না।অধ্যক্ষ সাহেব কথা দিয়ে কথা না রেখে সোহরাব হোসেন নামে এক ব্যক্তির মেয়েকে মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করেন।
অভিযোগকারী এই নিয়োগ বাতিল করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে মহাপরিচালক ও জেলা প্রশাসক সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন। যারা নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারেনি তারা বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র করে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা সঠিকভাবে হয়েছে কোন অনিয়ম হয়নি।
কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।