দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মানের কাজ

এফএনএস (বরিশাল প্রতিবেদক) : | প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মানের কাজ

দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি বরিশাল ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণ কাজ। দুই দফায় হাসপাতালের ব্যয় বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ২৩৯ কোটি টাকা। তারপরেও প্রকল্পের নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি।

নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে আরও দুই বছর সময় চেয়ে গণপূর্তের কাছে আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্ধিত এই সময়ের মধ্যেও হাসপাতালটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা সংশয় প্রকাশ করেছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের জন্য ৪৬০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে শেবামেক হাসপাতালের সামনে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ১৪ হাজার বর্গফুটের ১৭ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। মেসার্স খান বিল্ডার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে ২০২৩ সালে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ওই সময়ের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি বিশেষায়িত হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি। প্রথম দফায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় বাড়ে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। ফলে তৃতীয় দফায় আরও দুই বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে।

গণপূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালের বিশেষায়িত ক্যান্সার হাসপাতাল প্রকল্পের ডিপিপি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৩৮ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। এরমধ্যে ৯৯ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে বেজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে। দুই দফায় প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধি করায় প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ কোটি টাকা।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপক রিপন তালুকদার বলেছেন, বরাদ্দ না পাওয়াসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ করা যায়নি। প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু আমরা কাজের বিল পুরো পাইনি। বিল না পেলে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও কমসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কামাল হোসেন বলেন, অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া যন্ত্রপাতি আমদানি জটিলতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় বাড়েনি। অবকাঠামোর নির্মাণকাজ এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে এখনো দুই বছর সময় লাগবে। তাই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরই নতুন করে দুই বছর সময় বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন হয়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে