‘জঙ্গি আস্তানায় কয়জন নিহত হয়েছে এই মুহূর্তে তা বলতে পারছি না। বাড়িটি লণ্ডভণ্ড অবস্থায় আছে। এখনও পুরো বাড়ি পরিষ্কার করা হয়নি। বাড়িটি পরিষ্কার করতে সময় লাগবে। এরপর নির্দিষ্ট করে নিহতের সংখ্যা বলা যাবে। তবে ঘরের মধ্যে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় তিনটি পা দেখা গেছে। ধারণা করছি সেখানে অন্তত দু’জন নিহত হয়েছে।’
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ সোমবার সকালে বসিলার মেট্রো হাউজিংয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নিহতরা কোনো জঙ্গি দলের সদস্য বলে জানালেও তাদের পরিচয় বা তারা কোন সংগঠনের সদস্য সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি বেনজীর।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। বাড়িটির ভেতর থেকে গুলি ও দুটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে বলে দাবি করে র্যাব। বাড়িটির আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রায়েরবাজার বধ্যভূমির ঠিক পেছনে র্যাব-২-এর নতুন সদর দপ্তর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে বাড়িটি অবস্থিত। বাড়িটির ঠিক পাশে একটি দোতলা ভবন রয়েছে। বেশির ভাগ প্লট ফাঁকা। কিছু বাড়ি নির্মাণাধীন। জঙ্গি অবস্থানের তথ্য জানার পরিপ্রেক্ষিতেই বাড়িটি ঘিরে অভিযান শুরু করে র্যাব-২।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, বিধ্বস্ত ওই বাড়ির ভেতরে অবিস্ফোরিত আইইডি থাকতে পারে। র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেখানে তল্লাশি করছে। তাদের কাজ শেষ হলে তারা বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন।
জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য ওই বাড়ির মালিক ওয়াহাব, কেয়াটেকার সোহাগ, তার স্ত্রী মৌসুমী এবং পাশের মসজিদের ইমাম ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অভিযান শুরুর পরপরই ওই বাসার ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি হয় সেখানে। ভোর পৌনে ৫টার দিকে বড় একটি বিস্ফোরণে ওই বাসার টিনের চাল উড়ে যায়।
সকাল ৯টার পর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে র্যাবের স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা ওই বাড়িতে ঢোকে। ওই সময়ও সেখান থেকে কয়েক দফা গুলির শব্দ পাওয়া যায়। পরে ড্রোন উড়িয়ে ভেতরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয় বলে মহিউদ্দিন ফারুকী জানান।
ওই বাড়ির কেয়ারটেকার সোহাগ র্যাব কর্মকর্তাদের বলেছেন, চার কক্ষের ওই টিনশেড বাসার একটি ঘর চলতি মাসের ১ তারিখে দু'জন ভ্যানচালক পরিচয়ে ভাড়া নেয় দুই যুবক।