অবশেষে এক বছর দু’মাস পর ভেকুটিয়ার শিশু ইয়াসিন হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে সিআইডি পুলিশ। নিজে বাদী হয়ে মামলা করেও ছাড় পেলেন না ঘাতক পিতা। যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের কারিগরপাড়ার ওয়াসিম হোসেন, স্ত্রী ফজিলা বেগমকে তাড়িয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে তিনি তার ছেলেকে হত্যা করেছিলেন। সোমবার আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জনিয়েছেন ঘাতক ওয়াসিম। অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আকরাম হোসেন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ওয়াসিম ওই গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় শিশু ইয়াসিন বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুজি শুরু করে স্বজনরা। রাত ৮টার দিকে ভেকুটিয়া বাজারের কাছে একটি ধানক্ষেতের মধ্যে শিশু ইয়াসিনের মরদেহ পাওয়া যায়। ইয়াসিনের মৃত্যু রহস্যজনক হওয়ায় অপমৃত্যু মামলা করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়না তদন্ত রিপোর্টে ইয়াসিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরের ১৩ আগস্ট নিহত ইয়াসিনের পিতা ওয়াসিম হোসেন বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে মামলার বাদী নিহতের পিতা ওয়াসিম হোসেনকে রোববার আটক করেন। এরপর সোমবার ওয়াসিমকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবাবন্দি দেন ওয়াসিম।