দূর্ণীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন- আমি বাংলাদেশের বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেছি। তাতে মনে হয়েছে, আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটি গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। যার ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা হলে ব্যঘাত ঘটছে। কমিটির নামে কিছু অসাধু আছেন, অযথাও শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করে শিক্ষা কার্যক্রমে বাঁধা সৃষ্টি করছে। ভবিষ্যতে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। যে শিক্ষা আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও সমক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে না, সেই শিক্ষা শিক্ষাই নয়। অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে শুধু পাশ করার জন্য সন্তানকে স্কুলে পাঠায় না, তাদেরকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও পাঠায়। একটি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ পাশ করাই মূখ্য বিষয় নয়, ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার মূল ভিত্তি রয়েছি কিনা তা পরখ করা প্রয়োজন। তাই শিক্ষকদেরকে তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। আপনাদের মনে রাখতে হবে দায়িত্ব পালন না করাও একটি অপরাধ।
তিনি বলেন- সরকার ও আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালে মধ্যে আমাদের দেশ ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি মানসম্মত স্থানে নিয়ে যাওয়া। আর সেই লক্ষ্যকে চিন্তা করে আমরা অতীতকে পিছে ফেলে, ২০১৯ সাল থেকে সরকার ও সমগ্র জাতির ইচ্ছা বাস্তবায়ণে জন্য দুদুক কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা থাকবে সম্পূর্ণ দূর্ণীতি মুক্ত । এখানের কারোও অসযোগিতা ভাব বা দূর্বলতা কিংবা দূর্ণীীত কোন অবস্থায় সহ্য করা হবে না। কারণ দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে একটা সুন্দর ও বাস্তব মুখি শিক্ষা ব্যবস্থা ও তার পরিবেশ চালু করতে হবে। তাহলে আমাদের সমাজ থেকে দূর্ণীতি দূর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন- আমার অনুরোধ, আমাদের আগামী প্রজম্ম যেন শিক্ষা জীবন থেকে নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেড়ে উঠতে পারে। তিনি আরোও বলেন- শিক্ষক শিক্ষকই । স্বয়ং প্রধান মন্ত্রীকে দেখেছি, তিনি কিভাবে তার শিক্ষকদেরকে সম্মান করেন। রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা কয়েকদিন পূর্বে কিছু সুপারিশ মালা প্রেরণ করেছি। সেই সময় রাষ্ট্রপতি আমাদেরকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ ভাবে কাজ করতে বলেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই ঘোষনা দিয়েছি, এবছর আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করবো। আমরা আপনাদের কর্মকা-ের উপর দৃষ্টি রাখবো। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা নির্ভয়ে কাজ করবেন। দুদুক আপনাদের পাশ রয়েছে। কেউ আপনাদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে বাঁধা দিলে আপনারা ডিসিকে জানাবেন। আমরা তাকে চ্যাপ্টা করে দিবো। আমার নিজ এলাকা যেহেতু ফরিদগঞ্জ , তাই চাই এখান থেকেই আমরা এব্যাপারে যাত্রা শুরু করবো।
রোববার বিকেলে ফরিদগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি তাঁর বক্তব্যে এই কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলী আফরোজের পরিচালনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, জাবেদ আহম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে অতিরিক্ত মহা পরিচালক, সোহেল আহম্মদ প্রমূখ।