নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তর চান্দখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রবিউল আলম বসুনিয়া রাজু (৪৮) এর বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ এনে তার বিচারের দাবীতে উপজেলা শিক্ষা অফিস ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গনি উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসার খবরে এলাকাবাসী অফিস ঘেরাও করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী ও গত ১৮ এপ্রিল উত্তর চান্দখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রবিউল আলম বসুনিয়া রাজু (৪৮) এর বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেংকারীর অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক ও প্রথমিক শিক্ষা দপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে দু’টি লিখিত অভিযোগ করে উত্তর চান্দখানা এলাকাবাসী। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসে আসে। একই সাথে অভিযোগকারী হাসিনুর রহমানসহ শতাধীক এলাকাবাসী শিক্ষা অফিস ঘেরাও করে চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবী করে।
অভিযোগে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাজু গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টার দিকে উত্তর চান্দখানা রেলঘুন্টি গুড়িয়াপাড়ার জাকির হোসেনের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে গনধোলাই দেয়। এরপর ওই এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক আবদুল জব্বার প্রধান শিক্ষক রাজুকে জিম্মায় নিয়ে কৌশলে তাকে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রাজু তার স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে। বিয়ের পর ওই সহকারী শিক্ষিকাও তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ চরিত্রহীন প্রধান শিক্ষকের কারণে স্কুলে মেয়েদের পাঠাতে অভিভাবকরা চিন্তিত।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো: রবিউল আলম বসুনিয়া রাজু তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ্রে সত্যতা অস্বিকার করে জানান, এলাকার কিছু মানুষ আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সত্যের বিজয় হবেই।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গনি বলেন, তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত রির্পোট দেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক রাজুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।