ভোলার তজুমদ্দিনে জমিজমার বিরোধের জের ধরে বাড়িতে একা পেয়ে যুবককে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে মারপিট করে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্বামীকে ছাড়াতে গেলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকেও মারপিট করা হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বামী স্ত্রী উভয়কে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সুত্র মতে জানা যায়, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ঘোষের হাওলা গ্রামের জয়নাল আবদীন ও কাঞ্চন গংদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। উভয় গ্রুপের মধ্যে মামলা পাল্টা মামলা চলমান রয়েছে। চিকিৎসাধীন কাঞ্চনের ছেলে অহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল ১০ টার দিকে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশী রতনের ছেলে নিরব ও মৃত হারিচের ছেলে ফারুক তাকে গামছা দিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। দীল মোহাম্মদের ছেলে কাঞ্চন, মুজু বেপারীর ছেলে মোফাজ্জল, কাঞ্চনের ছেলে মিজান, মৃত হারিচের ছেলে ফারুকসহ ১০/১২ জনে মিলে লাঠি ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এ সময় তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাকে পেটে লাথি দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে প্রতিবেশী জয়নাল আবদীন, আবদুর রহিম ও আব্দুল্যাহ তাদেরকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। তজুমদ্দিন থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ ফারুক আহাম্মেদ বলেন, আহতদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসআই আল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রন্তুতি চলছে।