ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলাতে গত জুন মাসের প্রথম থেকে জুলাই ৯ তারিখ পর্যন্ত ৪০ দিনে উপজেলা একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ১৮টি বাড়িতে ৩৪ গরু চুরি এবং বাড়ি ও বাজারে ৯টি সাধারণ চুরির ঘটনা ঘটেছে। হঠাৎ মধুখালীতে এ সকল চুরির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার চরম আবনতি হওয়ায় এলাকবাসী মধ্যে ভীতির সৃষ্টি এবং দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন। এদিকে পুলিশ কোরকদী ইউনিয়নের ৪গরু চোরকে ধরে জেলহাজতে দিয়েছেন এবং ৩টি গরু উদ্ধার এবং গাজনার বেলেশ^রের বিদ্যুতের ট্রান্সফামার চুরির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে কয়েক চোরকে আটক করেছেন। এ দিকে ৮ জুলাই সোমবার রাতে নওপাড়ার গোপালপুর গ্রামে এক গরু চুরি এবং ৯ জুলাই মঙ্গলবার রাতে কামারখালী বাজারে তিন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। হঠ্যাৎ করে আইন-শৃংক্ষলার অবনতিতে উপজেলা ও প্যেরবাসি আতংকের মধে দিন যাপন করছেন।
সংশ্লিষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এসব চুরির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। জাহাপুর, বাগাট, রায়পুর, মেগচামী, গাজনা, আড়পাড়া, কোরকদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ জানান, গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে জাহাপুরে তিনটি বাড়ি থেকে ৭টি গরু যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা, এ ছাড়া দুটি বাড়িতে ছোট চুরি হয়। মেগচামী ইউনিয়নে দুটি বাড়িতে ৪টি গরু যার মূল্য ৩ লাখ টাকা, বাগাট ইউনিয়নে একটি বাড়িতে একটা গাভী ও বাছুর যার মূল্য ৭০ হাজার টাকা এবং বাগাট বাজারে একটি দোকানে তালা ভেঙ্গে প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। আড়পাড়া ইউপির পশ্চিম আড়পাড়া এবং শান্তিপুরে গত ৬ জুলাই ২টি বাড়িতে ৪টি বড় গরু চুরি হয় যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। নওপাড়া ইউনিয়নের দড়িবাজার আড়কান্দিতে ১টি গরু যার মূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ৯ জুলাই রাতে পৌর সভার গোপালপুর এক বাড়িতে একটি গরু চুরি এবং কামারখালী বাজারের তিনটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এক চাউল ব্যসায়ীর ঘর থেকে ১১১ বস্তা চাউল এবং অপর দুটি দোকানের নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল চুরি হয়।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মির্জা আব্বাস হোসেন চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পৌর সভা এলাকার ২নং ওয়ার্ডে ৫টি বাড়িতে ১১টি গরু এবং ৮জুলাই দিবাগত রাতে গোপালপুর গ্রামে ১ টি গরু চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ৬নং ওয়ার্ডে থানার পূর্ব পাশে আজিজের বাড়ির ভাড়াটিযা পুলিশের এক এস আই এর ছেলের একটি মটরসাইকেল তালা ভেঙ্গে নিয়ে যায়, ৩নং ওয়ার্ডের গোন্দারদিয়া সাতাইনির মাঠে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে তালা ভেঙ্গে এবং ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গাড়াখোলা বনানী রোডে একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘঠিত হয়। তাদের প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তিনি জানান, তড়িৎ চুরি ঠেকাতে স্থানীয় থানা পুলিশ, জন প্রতিনিধি এবং গ্রাম পুলিশসহ এলাকাবাসীর সমন্বয়ে পাহাড়াদার ব্যবস্থা না নিলে এ চুরি দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, গরু চুরির বিষয়ে কিছু মামলা ও সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। আমরা কয়েকটি গরু চোর ধরে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। তবে ৮জুলাই রাতে নওপাড়ার গোপালপুর গ্রামে গরু চুরি এবং ৯ জুলাই রাতে কামারখালী বাজারে চুরির ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগও করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে একটি হত্যা ছাড়াও কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।