এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস ও প্রতিরোধে এর মূলৎপাটনে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগেও বাড়ির আঙ্গিনাসহ বসবাসের জায়গা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এডিস মশার বংশ বিস্তারে কোন ভাবেই তিন দিনের বেশি পানি জমতে দেয়া যাবে না।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে যশোরের মণিরামপুর পৌরসভা আয়োজিত হলরুমে পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পৌরসভার সচিব কামাল হোসেনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভারতের পশ্চিমবাংলা সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ২০০৭ সালে সেখানে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ৮ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়। যার সফলতা তারা পাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এডিস মশা সমূলে ধ্বংস ও প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে মাস্টাররোলে ১৬’শ করে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এ্যাসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শুভ্রারানী দেবনাথ, মণিরামপুর সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ফারুকী, মণিরামপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, বণিক সমিতির সভাপতি অরুণ কুমার নন্দন, আলহাজ¦ বাবর আলী জোয়ার্দার প্রমূখ।