চাটমোহর-ফরিদপুর সড়কের মন্ডতোষ রেল গেটে গণপরিবহণ ও পণ্য পরিবহণে ভাঙ্গুড়া শ্রমিক সমিতির নামে ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চাঁদাবাজির কারণে পণ্য ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিকার দাবি করেছেন। চাটমোহর উপজেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি মোঃ ওসমান গণি অভিযোগ করে জানান,চাটমোহর-ফরিদপুর ও চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া রুটে চলাচলকারী পিকআপ,অটোবাইক,লেগুনা,মাহিন্দ,লছিমন,পাওয়ারটিলার,আলমসাধু নামক পরিবহণ থেকে ২০ টাকা হারে, অটোভ্যান ও অটোরিক্সা থেকে ১০ টাকা হারে এবং টেম্পু ও করিমন থেকে ১৫ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কোন সড়কে এ ধরণের চাঁদাবাজির ঘটনা বিরল। চাটমোহরের বিভিন্ন কোম্পানীর ডিলাররা আরো অভিযোগ করেন,তারা ফরিদপুর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মালামাল সরবরাহ করেন। তাদের মালামাল পরিবহণকালে অনুমোদনবিহীন কথিত ভাঙ্গুড়া শ্রমিক সমিতির নামে দীর্ঘদিন ধরে এই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,বিষয়টি ভাঙ্গুড়ার প্রশাসন জানার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রচ্ছায়ায় রায়হান নামের এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক পরিবহণ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার চাঁদাবাজি চলছে। যদি কোন যানবাহন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়,তাহলে চাঁদাবাজদের হাতে তাকে লাঞ্ছিত পর্যন্ত হতে হচ্ছে। থানা পুলিশ বিষয়টি জানার পরও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। যদিও ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ মাসুদ রানা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানেন না বলে জানান। ওসি বললেন,‘এটা আমার জানা নেই। আমার থানাতে এ ধরণের চাঁদাবাজি হয় না। তারপরও আমি বিষয়টি দেখবো। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।”
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সড়কে এই চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।