পাবনার সুজানগরে কৃষি জমি নষ্ট করে যত্রতত্রভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে ইটভাট। গত ৫/৭বছরের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার জানান, সরকারের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কৃষি জমিতে, আবাসিক এলাকায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ইটভাটা নির্মাণ করা নিষিদ্ধ। তাছাড়া ইটভাটা নির্মাণ করতে হলে পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ট্রেড লাইসেন্স লাগে। কিন্তু গত ৫/৭বছরের ব্যবধানে উপজেলার আহম্মদপুর, কাদোয়া, হাটখালী, চিনাখড়া, উদয়পুর, নাজিরগঞ্জ, কাদোয়া, মালিফা, রাইপুর এবং কামারদুলিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে যে অর্ধশত ইটভাটা গড়ে উঠেছে তার বেশিরভাগই কৃষি জামিতে। তাছাড়া ওই সকল বেশিরভাগ ভাটার পাশেই রয়েছে বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মূল্যবান গাছ-পালা। উপজেলার কামারদুলিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল জব্বার শেখ জানান, তার গ্রামে গত ৩/৪বছরের ব্যবধানে কৃষি জমি নষ্ট করে গড়ে উঠেছে ৩টি ইটভাটা। বিশেষ করে গত বছর ওই গ্রামের কোরবার আলী সরকারের প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কামারদুলিয়া মৌজায় একটি ইটভাটা নির্মাণ করেছেন। নতুন ওই ভাটার পাশেই রয়েছে একটি নার্সারী এবং কামারদুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে নতুন ওই ভাটার কারণে নার্সারীর গাছ-পালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেন নার্সারী মালিক কামরুল হাসান অভিযোগ করেন। উপজেলার দুলাই গ্রামের আদর্শ কৃষক ও শিক্ষাবিদ গোলাম রসূল বলেন যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠা ওই সকল ইটভাটার কারণে একদিকে প্রতিবছর নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার একর কৃষি জমি, অপরদিকে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ভাটার পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজীবন এবং গাছপালা। পাশাপাশি ওই সকল ভাটায় ইট তৈরীর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আশাপাশের কৃষি জমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি। এতে হ্রাস পাচ্ছে জমির ঊর্বরা শক্তি এবং কমে যাচ্ছে জমির উৎপাদন ক্ষমতা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ বলেন শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সরকারি আইন অমান্য করে গড়ে তোলা ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।