কেন্দ্রীয় নির্দেশনা ও আসন্ন জেলা অওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কয়েক ডজন সুবিধাভোগী ও যুযোগ সন্ধানী নেতার সন্ধান পেয়েছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভিগের সদস্যরা। ইত্বমধ্যই সরকারের গোপনীয় ওই সংস্থার অনুসন্ধানে জেলার ১২টি উপজেলায় কমপকে ৭১জন নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড বোল্ডার নেতাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদও পেয়েছেন বলে জানান দলীয় নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র জানায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং অভ্যন্তিরীন দলীয় জরিপে জানা যায়, অনুপ্রবেশকারীদের অনেকে বিএনপি, ফ্রিডম পাটির জামায়াত, জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অভিযোগ, দলীয় পদ পাওয়ার পর এদের নেতৃত্বেই বগুড়া শহর এর আঁশ পাশে চলে ব্যপাক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি জমি দখল, বালু দস্যুতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড।
সূত্র মতে মহান ’৭১এর মুক্তিযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির সঙ্গে জড়িত থাকা পরিবারের একাধিক পরিবার সহ জামাত পরিবারের একাধিক সদস্য বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে তবিয়তে রয়েছেন। আরো অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্য কেউ কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জনপ্রতিনিধি হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে। আর এসব অনুপ্রবেশকারী নেতাদের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী নেতা।
দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই নিজেদের স্বার্থে নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী পুষে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে নিজেদের স¦ার্থে দলে ভিড়িয়ে নেয়। পরে ধীরে ধীরে তাদের মাধ্যমেই তারা আবার আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়ে নিয়েছিল তাদের অনেকেই এখনো বহাল তবিয়তে তাদের পদে অসিন রয়েচেন বলে জানা গেছে।
অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে জেলার কোন নেতাই মুখ খুলতে চান না। তারা বলছেন আগামী ৭ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। এ কারণে কোন মন্তব্য নেই কারো।