বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ২৬ তম হয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না মেধাবী ছাত্রী শম্পা খাতুন। শম্পা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মেরীগাছা গ্রামের দরিদ্র জেলে মোঃ কামাল হোসেনের মেয়ে।
জানা যায়, শম্পা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় ২৬ তম, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৬ তম এবং রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৬৯ তম স্থান অধিকার করেছে। সে এর আগে মেরীগাছা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৫ পেয়ে এসএসসি এবং বনপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা অনার্স কলেজ থেকে জিপিএ ৩.৫ পেয়ে এইচএসসি পাশ করে। তিন ভাই বোনের মধ্যে শম্পা বড়, মেজো বোন এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট ভাই তিন বছর বয়স। তার পিতা নদী ও বিলে মাছ ধরে কোন রকমে পরিবারের পাঁচ সদস্যের আহার জোটান। এ অবস্থায় দরিদ্র বাবা-মা তাকে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি ও লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছেন না। কিন্তু অভাব-অনটনকে জয় করে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন শম্পার দুচোখ জুড়ে।
শম্পার স্কুল শিক্ষক শেফালী খাতুন জানান, নিকটতম স্বজন ও আমাদের সহায়তায় মেয়েটি এ পর্যন্ত লেখাপড়া করে এসেছে। এখন সে ভর্তি হতে পারলে ভাল কিছু করতে পারবে বলে আমার বিশ^াস। কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৭৬২৭৬৮৬৮৭ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।