পাবনার সুজানগরের সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে বেড়া পাউবো’র অর্থায়নে কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে বান্নাই খাল পুনঃখনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভুক্তভোগী কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সাতবাড়ীয়া ইউপি সদস্য এবং ভুক্তভোগী কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন, সুজানগর পৌরসভা এবং ভায়না ইউনিয়নের কিছু অংশে বান্নাই খাল থাকলেও সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে বান্নাই খাল বলে কিছু নেই। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বান্নাই খাল পুনঃখননের নামে সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের মুজাইদপুর, মমরাজপুর এবং নিশ্চিন্তপুর মৌজার প্রায় দেড়‘শ বিঘা ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে ওই খাল খনন করছেন। ইতিমধ্যে মুজাইদপুর ও মমরাজপুর মৌজার প্রায় ৭০বিঘা ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষি জমি কেটে খাল খনন করার কারণে জমিতে আবাদ করা লাখ, লাখ টাকার উঠতি মূলকাটা পেঁয়াজ, রসূন এবং সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে মমরাজপুর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক কোরবার আলী অভিযোগ করেন। একই ইউনিয়নের ভুক্তভোগী আরেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি খাল খনন করলে কোন আপত্তি ছিলনা। কিন্তু যে সকল জমি কেটে খাল খনন করা হচ্ছে তার বেশিরভাগ জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন। ওই এলাকায় সরকারি খাল বা বান্নাই খাল বলে কিছু নেই। তাছাড়া যে জমির উপর দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে সে সকল জমি এলাকার কৃষকরা খাজনা-খারিজ দিয়ে যুগযুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। অনেক কৃষকের চলতি বছর পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ আছে বলেও তিনি জানান। অথচ তারপরও অবৈধভাবে তথা জোরপূর্বক ওই খাল খনন করা হচ্ছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (অঃদাঃ) রওশন আলী বলেন জমির শ্রেণি যদি সরকারি খাল হয় তাহলে খনন করতে কোন বাধা নেই। কিন্তু জমি যদি ব্যক্তি মালিকানা হয় তাহলে অধিগ্রহণ করতে হবে। বেড়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন ৫কোটি ৭৯লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার তাঁতীবন্দ হতে সাতবাড়ীয়া পর্যন্ত বান্নাই খাল পুনঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সাড়ে ১৫কিঃ দীর্ঘ ওই প্রকল্পের সবটুকুই সরকারি খাল। সেখানে ব্যক্তি মালিকানা কোন জমি নেই। কিন্তু তারপরও যদি ওই জমির ব্যাপারে এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকে তাহলে কাগজপত্র যাচাই করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।