কিশোরগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় আবুল কায়েস জনিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হ্জাার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও অপর ৩ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। বুধবার কিশোরগঞ্জ-১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক কিরণ সংকর হালদার এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আবুল কায়েস জনি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া কলেজ রোডের বাসিন্দা আঃ কাদিরের ছেলে।
মামলার বিরণে জানা যায়, জেলা শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড রোডের বাসিন্দা ফেরদৌস খানের মেয়ে কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী (ভিকটিম)কে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিতো জেলা শহরের কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া কলেজ রোডের বাসিন্দা আঃ কাদিরের ছেলে আবুল কায়েস জনি। ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর আখরাবাজার ব্রীজের পশ্চিম পাশের নতুন রাস্তায় স্কুল ছাত্রী (ভিকটিম) পরীক্ষা শেষে বাসায় যাওয়ার পথে আখরাবাজার ব্রীজের পশ্চিম পাশে নতুন রাস্তায় পৌঁছামাত্রই ভিকটিমের রাস্তা আটকিয়ে মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে জোর পুর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৬৭০ তাং ১২/১২/১৭ ইং) দায়ের করেন। থানায় মামলা গ্রহণ না করায় ৩০/১/১৮ তারিখে কিশোরগঞ্জ-১ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্্রাইব্যুনাল আদালতে ভিকটিমের পিতা ফেরদৌস খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার বিচারক এ রায় দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্্রাইবুন্যালের পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তফা আহমেদ হিমেল।