নীলফামারীর ডিমলায় শিক্ষক কতৃক ছাত্রী অন্তসত্বার ঘটনায় এলাকায় তোলপার শুরু হয়েছে।
উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের খগাখড়িবাড়ী দ্বি মুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবহানের যৌন লালসার শিকার একাধিক ছাত্রী। এ শিক্ষকের কাছে সম্ভ্রম হারানোর আশঙ্কায় আতঙ্কিত সাধারন ছাত্রীরা চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক আবদুস সোবহানের শাস্তির দাবী জানিয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবহান প্রথম স্ত্রী সন্তান রেখে গৃহ পরিচারিকাসহ নিজ বিদ্যালয়ের গরীব ছাত্রীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার নামে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। এভাবে বিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্রীর সাথে দীর্ঘস্থায়ী অনৈতিক সম্পর্কের জেরে তারা অন্তসত্বা হয়ে পড়লে তিনি তাদের বিয়ে করেন। ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রোজিনা আক্তার, রুপালি আক্তার, সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী ফেন্সি আক্তারের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীদের সাথে দৈহিক সম্পর্কের কারণে তারা সকলে একের পর এক অন্তসত্বা হয়ে পড়লে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লম্পট শিক্ষক তাদের বিয়ে করেন। এবার ওই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের গরীব কৃষকের মেয়ের সাথে দারিদ্রতার সুযোগে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক। এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ১০ শ্রেনীর ওই ছাত্রী বর্তমানে ৬ মাসের অন্তসত্বা। ঘটনাটি প্রকাশ হলে ওই শিক্ষক এলাকার প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় অন্তসত্বা ছাত্রীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ী হতে সড়িয়ে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানাযায় অন্তসত্বা ছাত্রীর অসহায় পরিবারটি লম্পট শিক্ষকের ভয়ে প্রতিবাদ না করে তার কথামত লুকিয়ে রয়েছে। এদিকে অভিযোগের পরেও লম্পট চরিত্রহীন সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবহান বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে চাকুরী করে আসছেন নিয়মিত। সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবহান বলেন, সপ্তম শ্রেীর ছাত্রী ফেন্সি আক্তার, নবম শ্রেনীর ছাত্রী রুপালী আক্তার, রোজিনা আক্তারের সাথে আমার কোন কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে আমার স্ত্রীদের নামের সাথে তাদের নামের মিল থাকতেই পারে। বর্তমানে ওই শিক্ষকের লালসার শিকার ১০ শ্রেনীর অন্তসত্বা ছাত্রীর বিষয়টি তিনি অস্বিকার করে বলেন, ওই ছাত্রী তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোথায় গেছেন তা আমি জানিনা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সহকারী শিক্ষক আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ছাত্রীদের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন হবে।