যেন অন্যরকম বাজার চলছে প্রতিদিন সকালে মনিরামপুর পৌর শহরে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কোন ব্যক্তিরিই নেয মনে থাকছেনা প্রশাসনের দেওয়া নিয়মের কথা। সামাজিক দূরাত্ব বজায় রেখে চলাচলের জন্য প্রতিজন নাগরিকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তার পরও সে কথাগুলো ভুলে যাচ্ছেন প্রতিদিন সকালে। অবশ্যই এ সময়টিতে মাঠে থাকছে না প্রশাসন। সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন কাচাবাজারটি সরিয়ে দেয় সরকারী বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। মাছ তরকারি, মুদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা প্রশাসনের আদেশ থাকলেও সকালে বন্ধ রাখা হচ্ছেনা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সোমবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় জুয়েলারী, হার্ডওয়ার, বাসনালয়, জুতা, কাপুড়িয়া পট্টির বেশির ভাগ দোকান খোলা রেখে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে রীতিমতো প্রতিদিনের সকালে। এসব বিষয়ে সরকারি ভাবে উপজেলা প্রশাসন নজরদারী করলেও খোদ বাজার কমিটির সভাপতি অরুন কুমার নন্দন এবং সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলামের রীতা ট্রেডার্স নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দুটি খোলা চোখে পড়ে। সব চেয়ে মণিরামপুর রাজগঞ্জ সড়কের তাহেরপুর অংশে প্রধান সড়কে সাধারন জনগণের চলাচলে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ সড়কের গ্রামীন ব্যাংকের সংলগ্ন পার্শ্বে দেওয়া হচ্ছে টিসিবির পন্য। টিসিবির দেওয়া ডাল, ছোলা, তেল ও চিনি নিতে প্রতিদিন সকালে রাস্তায় শত শত নারী-পুরুষ ভীড় করছে। সেখানে সামাজিক দূরাত্বের কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। পন্য সরবরাহকারী শাহিনুর রহমান শাহিন এ অবস্থা নিয়ন্ত্রন রাখার চেষ্টা করলেও তা পারছেন না তিনি। গত ৩/৪ দিন আগে এ পন্য সরবরাহ করতে গিয়ে উপজেলা পরিষদেও সামনে জনতার চাপের মুখে পড়েন ডিলার শাহিন। শেষ পর্যন্ত নিজেকে রক্ষা করতে পন্য বহনকারী ট্রাক নিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। পৌর শহর মণিরামপুরের প্রতিদিন সকালের এ চিত্র দেখে সচেতন অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। প্রেসক্লাবের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ি নিপা ড্রাগের মালিক মুক্তার হোসেন বলেন প্রতিদিন সকালে বাজারের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে ইদের বাজার শুরু হয়েছে। সরকারী ভাবে নিষেধ থাকার সত্ত্বেও অনকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে। জুয়েলারী, কাপড়, জুতার দোকানের অবস্থা দেখলে মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কিছুই খবর রাখেন না অনেকেই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাজার কমিটির সভাপতি অরুন কুমার নন্দন জানান, সব নিয়ম ঠিক আছে, তারপরও মেনে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যে কারণে কিছু জুয়েলারী, কাপড়ের দোকান খুলতে পারে। তবে সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন ভিন্ন কথা তিনি বলেন, মণিরামপুর ছাড়া সব জায়গায় খোলামেলা বাজার চলছে।