নীলফামারীর ডিমলায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরলো প্রথম এবং দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত রোগী।
সোমবার রাতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন সুন্দরখাতা গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রানা(১৭) নীলফামারী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন কেন্দ্রে টানা ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ্য হয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ীতে ফিরেছে। অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুরে একই এলাকার আনার উদ্দিনের ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ(১৮) একই হাসপাতালেন আইসলোশনে ১৫দিন চিকিৎসাধীন থাকার সুস্থ্য হয়ে হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে সেও বাড়ীতে ফিরেছে।
রানা এবারে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকার গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারখানায় নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করত। গত(৬ এপ্রিল) ঢাকার কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফেরার পর সে সর্দি কাশি ও জ্বরে ভুগছিলেন। খবর পেয়ে ডিমলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠায়। পরীক্ষায় গত(১১এপ্রিল) তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পরে। ওইদিন রাতে ডিমলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ রানাকে তার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে প্রেরন করেন। সেখানে ১৬দিন চিকিৎসারত অবস্থায় নিয়ম অনুসারে রানা’র পরপর দু’বার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে, সোমবার ডিমলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ রানাকে সুস্থ্য অবস্থায় নীলফামারী সদর হাসপাতাল থেকে তার নিজ বাড়ীতে পৌছে দেন।
অপর দিকে আরিফ ঢাকা বাংলা কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র। গত (২২মার্চ) সে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে আসে। ঢাকা থেকে আসার কারণে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠায়। পরীক্ষায় গত(১৪এপ্রিল) তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ ধরা পরে। ওইদিন রাতে ডিমলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ আরিফকে তার বাড়ী থেকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে প্রেরন করেন। সেখানে ১৪দিন চিকিৎসারত অবস্থায় নিয়ম অনুসারে আরিফের পরপর দু’বার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলে, মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী সদর হাসপাতাল কতৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে আরিফ তার বাড়ীতে ফিরে আসে। নীলফামারী সিভিল সার্জেন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।