করোনাভাইরাসের কারণে দেশের বেশির ভাগ পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। যাদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত তথা শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ। উপজেলার ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিষ্টেম ব্যবসায়ী এবং ডেকোরেটর শ্রমিকরা দির্ঘদিন হতে কর্মহীন হয়ে পড়ায় খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
উপজেলায় মোট ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিষ্টেম ব্যবসায়ী এবং ডেকোরেটর শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৩শ। গত দেড়মাস যাবত করোনাভাইরাসের কারণে মালিক শ্রমিক ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে তাদের।
ডেকোরেটর মালিক সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও ডেকোরেটর শ্রমিক সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা ছাড়া সকল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ব্যবসা এবং শ্রম দিয়ে কিছুনা কিছু আয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। একমাত্র ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ও ডেকোরেটর শ্রমিকরাই পুরোপুরি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করছি আমাদের সংসার কিভাবে চলছে কেউ তা খোঁজ নেয় না। আমরা খেয়ে না খেয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। সরকারীভাবে উপজেলা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অসহায় মানুষ ত্রানসামগ্রী পেলেও। আমাদের ভাগ্যে আজো কোন সরকারী ত্রান কিংবা সাহায্য জোটেনি। সরকারীভাবে ত্রানসামগ্রী বা সাহায্য না পেলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে ডিমলার ডেকোরেটর মালিক শ্রমিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপনের বিষয়ে কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।