নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রথমবারের মত একদিনেই আট জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে বলে জানিয়েছেন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পূর্বে তিনি এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাঠকর্মী। এদের মধ্যে একজন নারী স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছেন। যার বয়স ২৭। বাকীদের বয়স যথাক্রমে ৫২ ও ২৭ বছর। এরা স্বেচ্ছায় নমুনা দিয়েছিলেন। ঢাকা ফেরত বাকী পাঁচ জনের মধ্যেও দু’জন নারী রয়েছেন। এরা উপজেলার নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের মালিয়াখৈর ও সমসাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। এদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে। এরা ঢাকা ফেরত হওয়ায় সন্দেহভাজন হিসাবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। গত ২মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। ৫ মে বিকালে তাদের রির্পোট পজেটিভ আসে।
জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত মালিয়াখৈর ও সমসাবাদ গ্রামের ব্যক্তিরা ঢাকার আশুলিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা কয়েকদিন পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ী ফিরেন। বাড়ীতে এসেই তারা হোম কোয়ারিন্টিন না মেনে বিভিন্ন ব্যক্তির বোরোধান কাটা শুরু করেন। ঢাকা থেকে ফেরত আসায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার তাদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
নাম না প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগের সুরে বলেন, প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত ওই ঢাকা ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা এখন করোনা ঝুঁকিতে পড়লেন। শুধু গ্রামবাসী নয় এই ঝুঁকিতে রইল এখন সমস্থ উপজেলাবাসী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা গিয়েছিলেন তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজনদের হোম কোয়ারিন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আক্রান্তরা সবাই সুস্থ্য রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন ল্যাব টেকনিসিয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল লকডাউন করা হবে কিনা সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।