নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে স্ত্রীকে না নেওয়ায় এক প্রধান শিক্ষককে জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন যুব লীগ সভাপতির মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা হতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন আয়েজন করে উপজেলার সকল শিক্ষক।
মানববন্ধনে উপজেলা প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক আমিনুল হক বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক হুমায়উন কবীর, জাহাঙ্গির আলম ও সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তুর্য্য প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, প্রকাশে দিনের বেলায় যুবলীগ সন্ত্র্যাসীরা আমাদের এক প্রধান শিক্ষককে বাজারে মারধর করে। মামলা ও ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও আসামীদের এখনো গ্রেফতার করা হয় নাই। সন্ত্র্যাসী জুয়েলকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করবে উপজেলার সকল শিক্ষক।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, পশ্চিম হলহলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার একজন পুরুষ ও একজন নারীর নাম দেন। সেখানে জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজাহারুল ইসলাম জুয়েলের স্ত্রীর নাম নাই। জুয়েল কমিটিতে তার স্ত্রীকে নিতে প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিমকে চাপ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ মে) দুপুরে ডোমার বাজারে প্রধান শিক্ষককে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জুয়েলসহ কয়েকজন মারধর করে। পরে প্রধান শিক্ষক মাসুদ করিম তিন জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আজাহারু ইসলাম জুয়েল বলেন, আমি ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলাম। নৈশ্য প্রহরী নিয়োগে আমি প্রধান শিক্ষককে দুই লক্ষ টাকা দেই। টাকা ফেরত চাইলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়।
ডোমার থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রধান শিক্ষককে মারধরের বিষয়ে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।