উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে আম্পানের প্রভাবে ঝড় ও শুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
গত রাত ১০টা থেকেই শুরু হয়ে তা অব্যাহত আছে। জেলার নদীগুলো ভয়ানক রুপ ধারন করেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫/৬ ফুট পানি বেড়েছে। নিন্ম অঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
বুধবার ভোর থেকেই জেলা জুড়ে ভয়ানক পরিস্তিতি বিরাজ করছে। আমপানের প্রভাবে সুগন্ধা-বিষখালীসহ নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গত রাত থেকে দমকা হাওয়া সহ থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার ৪৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং প্রায় ৪শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার মানুষ এবং ৪ শতাধিক গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্ট্রর (এনডিসি) আহমেদ হাছান মঙ্গলবার গভীর রাতে আশ্রায় কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে ত্রান পৌছে দিচ্ছেন। এ সময় তার সাথে জেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধি, জেলা স্কাউট রেসপন্স টীমের সদস্য এস এম রেজাউল করিম সাথে ছিলেন।
সেই সাথে আকাশ অন্ধকার। জেরা শহরের সুগন্ধা চক এবং জেলার রাজাপুর নলছিটি উপজেলার বিশখাী কাঠালিয়া উপজেলার বিখালিী ও হলতা নদী পাড়ের অসংখ্য পরিবার এখন আশ্রায় কেন্দ্রে ঠাই নিয়েছে।
জেলা দুর্যোগ, ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশ্রাফুল হক জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৪৭৩টি আশ্রায় কেন্দ্রে নদীর পাড়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রায় নিয়েছে। মানুষের পাশাপাশি কায়েক হাজার গবাদি পশুও আশ্রায় নিয়েছে। জেলায় মোট ৫টি সরকারী কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতি তদারকি করছে প্রশাসন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. রিয়াদুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই আবারও মাইকিং করে সবাইকে নিরাপদ আশ্রায় কেন্দ্রগুলোতে আসার জন্য বলা হচ্ছে।