আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কাইউম শিকদার (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা। এসময় এক কৃষকলীগ নেতাসহ তিনজনকে গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মে) রাতে কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের কালিনগর নামক স্থানে ওই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কাইউম শিকদার উপজেলার বিলাফর গ্রামের হাসমত আলী শিকদারের ছেলে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশের সাড়াসি অভিযান চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানাধীন কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল কাইউম শিকদার ও একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা সবুর মোল্যা-সবুর ফকির গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাইউম শিকদার ও উপজেলার নড়াগাতি থানা কৃষকলীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাতসহ ৪জন নেতাকর্মী ২টি মোটর সাইকেযোগে কালিয়া থেকে কলাবাড়িয়া গ্রামে ফেরার পথে কালিয়া-গোপালগঞ্জ সড়কের কালিনগর নামক স্থানে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে কাইয়ূম সিকদারসহ চারজনকেই কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহতাস্থায় তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কাইউম সিকদারের মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত উপজেলার নড়াগাতী থানার কৃষকলীগের সভাপতি মোল্যা আবুল হাসনাত মোল্যা (৩৮), মতিয়ার মল্লিক (৪০) ও সজীব মল্লিকের (৩০) অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আবুল হাসনাত মোল্যার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও চিকিৎসকেরা। উল্লেখ্য, গতবছর বিবাদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সবুর মোল্যা ও সবুব ফকির গ্রুপের কটাই নামে একজন নিহত হয়েছিলেন।
এ ঘটনায় উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, ‘হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। খুনীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ বিষয়ে নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া অঞ্চল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহিৃত করে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।