লকডাউন তুলে নেয়ার পর লক্ষ্মীপুরে কভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমের সংখ্যা প্রায় প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। লক্ষ্মীপুরে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় রায়পুর থানার ৫ জন পুলিশ সদস্য এবং সদর উপজেলায় একজন সিনিয়র নার্সসহ আরো ২২ জনের শরীরে কভিড-১৯ করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৪২ জনের। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে মসজিদের ইমাম মওলানা ওমর ফারুক ও রায়পুরে রনি সাইকেল সাইকেল ষ্টোরের মালিক ব্যবসায়ী আবু খায়ের দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় রির্পোট পাওয়া যায়। সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফ্ফার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,এ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫জন। এ ছাড়া বাড়ীতে চিকিৎসা নিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ১৫জন। নতুন ১জন সহ আইসোলেশনে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন এবং কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৮৬৯ জন।
স্থানীয়রা বলছেন,নতুন করে আরো কঠোরভাবে লকডাউন দেওয়ার কথা। তা না হলে দিন দিন যে ভাবে করোনা শনাক্তের সংখ্যা যে ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে ভয়াভহ হবে লক্ষ্মীপুরের প্ররিস্থিতি।
অপরদিকে থেকে সারাদেশের ন্যায় লক্ষ্মীপুরে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহি বাসের চালককেও মাস্ক পরতে দেখতে যায়নি কাউকে কাউকে। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে শতকরা ৬০ ভাগ বৃদ্ধি করলেও অনেকক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যাত্রীর সংখ্যা কমই দেখা গেছে। অপরদিকে ভাড়া করা মাইক্রো এবং প্রাইভেট কারগুলো যত্রতত্রভাবে যাত্রী আনা নেয়া করছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই দেখা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা থেকে প্রায় রাতভর এ প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এতে কেউ কেউ মানলেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা। এতে কভিড-১৯ এর সংক্রমন আরো ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জেলাবাসী।