ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ৭নং বাক্তা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ব্যাংক থেকে উত্তোলিত সমূদয় টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ভুক্তভোগী পরিবার লেখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ নং ওয়ার্ডের কৈয়ারচালা পশ্চিম পাড়া গ্রামের গরীব অসহায় ভ্যানচালক আমিনুল। তার ১২ বছরের কন্যা সালমা মানসিক ভারসাম্যহীন একটু সরকারি সহযোগিতার আশায় গতবছর সে ওই ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল মিয়ার কাছে যায়। দুলাল মিয়া কার্ডের বিনিময়ে টাকা দাবি করে বসে। অবশেষে ১০ টাকা মাসিক সুদে এনে দুলাল মেম্বারকে ৭ হাজার টাকা দেয়। টাকার বিনিময়ে প্রতিবন্ধী কার্ডপ্রপ্ত হয়। গত ১ তারিখ সোমবার বাক্তা বাজার কৃষি ব্যাংক থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ডের প্রথম কিস্তি ৬৭৫০টাকা উত্তোলন করে। উত্তোলন করা টাকা ব্যাংকের নিচে থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ৪ হাজার ৫শত টাকা ইউপি মেম্বার তার কাছে রেখে বাকি ২২৫০ টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী সালমা ও তার মাকে বিদায় করে দেয়। এই ঘটনায় গত (৪জুন) অসহায় ভ্যান চালক আমিনুল ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম সিদ্দিকী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
বাক্তা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার শুনার পর এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদে আমরা সকল সদস্যদের নিয়ে জরুরি মিটিং করেছি। প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুলাল মেম্বারকে বলা হয়েছে। আশা করি ফেরত দিবে।
৪নং ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল মিয়ার সাথে একাধিকবার ফোন করা হলেও মোবাইল ফোন ধরেননি। এ কারণে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।