রংপুরের পীরগাছায় এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের চাচা তাকে হত্যার করা হয়েছে বলে দাবি করলেও স্বামীর পরিবার বলছে আত্মহত্যা। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার বড় পানসিয়া আমবাড়ি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মিতু আক্তার (২৭) ওই গ্রামের রহুল আমিনের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের মৃত মাজহারুল ইসলামের মেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে প্রায় ৫ বছর আগেবড় পানসিয়া আমবাড়ি গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে রুহুল আমিনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ৩ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে দুজনের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি করছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। তবে নিহত মিতুর চাচা মঞ্জুরুল ইসলাম দাবি করেন, মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানো থাকলেও পা ছিল মাটিয়ে ভাজ দেয়া। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পীরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিতুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, মিতুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।