শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ও নকলার উপজেলার উরফা ইউনিয়নের অংশ দিয়ে ভোগাই নদীর পাড় ভেঙ্গে ও পানি গড়িয়ে উপজেলার বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এবস্থায় পানি গড়ানোয় বশে কয়েকজনের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে এবং অনেক আমন ফসলের মাঠ পানি নিচে পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ী নদীর কাছাকাছি হওয়ার সেগুলি হুমকির মুখে রয়েছে। রোববার ১২ জুলাই পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি হওয়ায় যে কোন মুহুর্তে নদীর পার এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ী ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রমে মানুষজন চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এদিকে নদী ভাংগন ও বন্যা এলাকা নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান পরিদর্শন করেছেন।
সরজমিনে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রাম, গেরামারা অংশ, মরিচপুরান এলাকা ও নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বেনির গোঁফ এলাকার বিস্তৃর্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে নকলার উরফা বেনিরগোপ এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) বাড়ী ভোগাই নদীর পার সংলগ্ন হওয়ায় তার বাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে এবং নদীর সাথেই একটি পুকুর ছিল এই পুকরের সব মাছ নদীর পানিতে ভেসে চলে গেছে। একই সাথে শহর বানু (৫৫), স্বামী মৃত আজিম উদ্দিনের বাড়ী, আলী আজগর (৫০) এর বাড়ী নদী পারে হওয়ায় সেটিও এখন নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এদের সবার বাড়ী একসময় নদীর দক্ষিনে ওপাড়ে ছিল। নদীর ভাংতে ভাংতে এপাড়ে নতুন বাড়ী করার পরও এই বাড়ীও এখন থাকছে না। নদীর কাছার ভেঙ্গে এখন এই বাড়ীগুলি নদী বিলিন হওয়ার পথে। এদের সবারই ৪ থেকে ৫ একর করে সম্পদ ছিল সবই এখন নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। সব হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছে।
এদিকে এলাবাসী আঃ ওয়াদুদ (৭০), সৈয়দ আলী (৩৫), হাবিবুর রহমান (৬০) বলেন, ইতি পূর্বে এই ভোগাই নদীর পার দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বাঁধ ছিল এটির নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন নদী পানি উপচে প্রবাহিত হওয়ায় নদী পার গড়িয়ে আমাদের এই অঞ্চল প্লাবিত হয়। আমাদের অনেক জমিজমা এই নদীতে চলে গেছে। আমরা সব হারিয়ে এখন নিঃশ্ব হয়ে যাচ্ছি।
এব্যাপারে নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে চেয়ারম্যান ও এলাবাসীদের নিয়ে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, আমরা বন্যা এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। পানি কমলে এসব নদী ভাংগন অংশ দেখে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।