শৈলকুপা লাঙ্গলবাঁধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শৈলকুপা উপজেলা থেকে লাঙ্গলবাঁধ পর্যন্ত দুরত্ব ১৫কিলোমিটার। সড়কটি বর্তমানে পথচারীদের মহা ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। অনেক স্থানে এতো বড় গর্ত তৈরী হয়েছে যে, গর্তে পড়ে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঝে মধ্যে ইটের খোয়া ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এইসড়কের পাশে রয়েছে ৩টা কলেজ, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় , ৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি শাখা পোষ্ট অফিস , ২ টি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসও ২টি ইউনিয়ন ভৃমিঅফিস ,একটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ ২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রএবং ৫ টি ছোটবড় হাটবাজার রয়েছে।
সড়কে চলাচলকারী একাধিক যানবাহনের চালকরা বলছেন মাত্র ১০ মিনিটের পথ এখন ১ঘন্টাও যাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া এই ভাঙ্গাচুরা সড়কে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। অনেক স্থানেই গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। বিগত সরকারের আমলে সড়কটি সংষ্কার করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে সড়কের কযেকটির কয়েক জায়গাতে সংষ্কার করলেও তা কিছু দিন পর পিচ পাথর উঠে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে। বর্তমানে সড়কটি সংষ্কারে কর্তৃপক্ষের সু-নজর নেই। খোজ নিয়ে জানা গেছে, ধলহরাচন্দ্র , শিতালী, দলিলপুর , মালিথিয়া , কুশবাড়িয়া , করুনাকর , ছত্রভাঙ্গা, পাইকপাড়া, খাসবগদিয়া , ছোটধলহরা, পাইকেন পাড়া, লাঙ্গলবাঁধ চরপাড়াসহ প্রায় ২০টি গ্রামের জনগন এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শৈলকুপা থানাসদরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকে। সড়ক টির বর্তমানে এমন অবস্থা বিরাজ করছে যা পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এবং সড়কের মাঝে ছোট বড় গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।এব্যাপারে মাহেন্দ্র চালক জাহিদ হাসান জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির পিচ-পাথর উঠে গর্ত তৈরী হওয়ায় সড়কটি দিয়ে অত্যান্ত ঝুকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। ধলহরাচন্দ্র গ্রামের কৃষক পরিক্ষীত পোদ্দার জানান শৈলকুপা বাজারে বিক্রি করতে আনা প্রতিমন মালের ভাড়া ৫০/৬০টাকা দিতে হয়।
ট্রাক চালক জামাল হোসেন জানান, অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে তাদের এই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ভাঙ্গাচুরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে গাড়ি ও সময়ের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত বিকল হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হায়দার জানান, এই সড়ক নিয়ে তিনি বিপদে আছেন। আশা করছেন দ্রুত সড়কটি সংষ্কারে বরাদ্ধ মিলবে তারাও কাজ করাতে পারবেন।