কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে গত তিন বছর আগে নদী ভাঙ্গা ভূমিহীনদের জন্য সরকারী বরাদ্দে তৈরী করা হয়েছিল নাওশালা আশ্রয় কেন্দ্র। তিন বছর যেতে না যেতেই ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আশ্রয় কেন্দ্রটি। আশ্রয়কেন্দ্রের ঘর গুলি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে সেগুলি ভেঙ্গে ফেলে আশ্রিতরা। ভাঙ্গা মালামাল প্রভাব খাটিয়ে জমা নেয় স্থাণীয় ইউপি সদস্য নরুল হক। আশ্রিতদের ঘর ভাঙ্গার মজুরী দেয়ার কথা বলে মজুরী না দিয়ে আত্মসাৎ করে ওই ইপি সদস্য।
এব্যাপারে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ফল না পেয়ে সাংবাদিক বরাবর লিখিত অফিযোগ জমা দেন পত্রিকায় তুলে ধরতে। কেন অভিযোগ পেয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন? এমনটাই প্রশ্ন ভূক্তভোগি আব্দুল হকের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়কেন্দ্রের ৭৫টি রুমের স্টীলের ২২৫টি দরজা, ১৫০টি জানালা, টয়লেটের ৯০টি দরজা, ১৫টি টিউবওয়েল, ১২৭৫টি রঙ্গিন ঢেউটিনসহ অগণিত ইট, রট ও অ্যাঙ্গেল আত্মসাৎ করেছে নুরুল হক মেম্বর ও তার সহযোগি কুকিল মন্ডল, আশরাফ আলী, আঃ রহিম, অফিজল হক। এছাড়া ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে সহযোগিদের মাধ্যমে ঘর প্রতি ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে। ঘুষ নিয়েও ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়নি ১৮জন ভূক্তভোগিকে।
ভূক্তভোগি পরিবার গুলোর দাবী, “আমরা নিঃস্ব, ভাঙ্গা ঘরগুলো আমাদের দিলে উপকার হত। না দিয়ে মেম্বর আত্মসাৎ করেছে। আমাদের মজুরীও দেয় নাই। অভিযোগ দিয়ে বিচারও পাই নাই। আমাদের থাকার জায়গাও নাই।”
বিষয়টি নিয়ে নুরুল হক মেম্বরের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, “আমাকে কেউ টাকা দেয় নাই। গত বছর যে মালা-মাল ছিল সেটা বিক্রি করে শ্রমিক মজুরী দিয়ে শেষ হয়েছে। এবছর কে বা কারা ভেঙ্গে নিয়েছে তা আমি জানি না।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “করোনা ভাইরাসের কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি। এসে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”