বগুড়ার নন্দীগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। তবে এই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।
নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের খেংসর গ্রামে কিছু সরকারি জায়গা রয়েছে। এই জায়গাটি ইউনিয়ন পরিষদের।
অভিযোগ রয়েছে, সেখানে দেড় শতক জায়গা দখল করে তিনটি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল। এছাড়াও সেখানে আরও অনেক ব্যক্তি জায়গা দখল করে দোকান ঘর করেছেন। এখানে প্রায় সাত থেকে আট শতক সরকারি খাস জায়গা রয়েছে বলে স্থানীয়রা বলছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জায়গাটি বুড়ইল ইউনিয়নের খেংসর মৌজার অন্তভুক্ত। তার সাবেক দাগ নম্বর ৩১৩ যা ২ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা। মাস খানেক আগে আমিরুল সেখানে মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে ৩টি দোকান ঘরের একটি মার্কেট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে আমিরুলের।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমিরুল অনেক আগে থেকেই জায়টি ভোগ দখল করে আসছেন। শুধু আমিরুলই নয়। গ্রামের আরো অনেক মানুষ সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন।
আমিরুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি দাবি করেন, জায়গাটি তার কেনা সম্পত্তি। তার কাছে সব কাগজই আছে এই জায়গার।
জানতে চাইলে বুড়ইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। খবর পেয়ে বর্তমানে মার্কেট নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালের নতুন নকশা অনুযায়ী ওই জায়গা ইউনিয়নের পরিষদের।
তিনি জানান, সেখানে আমিরুল ছাড়াও আরও অনেকে দোকান ঘর করেছেন। তারা প্রায় ২০ বছর ধরে ভোগ করে আসছেন ওই জায়গা। পর্যায়ক্রমে সবাইকে নোটিশ করার প্রস্তুুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে আমিরুলকে তার কাগজগুলো নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমিরুল আসেননি।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম জানান, খেংসর মৌজার ওই জায়গাটি মূলত ২ নং খাস খতিয়ানভূক্ত। সরাসরি সরকারি মালিকানাধীন নয়। কিন্তু এটি সরকারি জমি। এই জমির মালিক ইউনিয়ন পরিষদ।
তিনি জানান, দখলের বিষয়ে স্থানীয়রা কেউ অভিযোগ করেননি। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে ইউপি চেয়ারম্যানকে সার্বিক সহায়তা করা হবে।