বাগেরহাটে নির্মানাধীন আইনজীবী ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক, নির্মান সামগ্রী রাখার বেড়া ও গেট ভেঙ্গে ফেলা, মালামাল লুট ও ভবনের পাহারাদারের উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট জেলা জজ আদালতের সামনে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের সময় ভাংচুর ও হামলায় ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শণ করেন আইনজীবীরা।মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. একে আজাদ ফিরোজ টিপু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আলতাফ হোসেন, এ্যাড. হাওলাদার আবদুল মান্নান, শাহ-ই আলম বাচ্চু, আলী আকবর প্রমুখ।মানববন্ধন শেষে আইনজীবীরা বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, ২৭ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে দুইটার দিকে জজশিপের নায়েব নাজির মিজানুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা পুরাতন কোর্ট চত্বর এলাকায় আইনজীবী সমিতির নির্মানাধীন ভবনের পাশে প্রধানমন্ত্রীর নাম সম্বলিত ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ফলক ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় তারা মালামাল রাখার জন্য দেওয়া বেড়া ও গেট ভেঙ্গে ভবনের পাশে প্রবেশ করে বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও লুট করে। ভবন পাহারার জন্য থাকা পাহারাদার মোহাম্মাদ আলীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। তিনি এখন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং এই ন্যাক্কার জনক ঘটনার সাথে জড়িত কর্মচারীদের বিচার দাবি করছি।
বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. আজাদ ফিরোজ টিপু বলেন, আমরা আইনজীবী সমিতির জরুরী সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।আমাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা ও দায়রা জজের কাছে দিয়েছি। আমাদের দাবি অনুযায়ী এক সপ্তাহের নায়েব নাজির মিজানুর রহমান মুকুলকে অন্য দপ্তরে বদলী করাসহ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। হামলার ঘটনায় জড়িত কর্মচারী ও নেপথ্যে যারা রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সমিতি পরবর্তীতে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি।
হামলা ও ভাংচুরের কারণ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ড. আজাদ ফিরোজ টিপু বলেন, জেলা জজশিপের জমি ও আইনজীবী সমিতির জমি পাশাপাশি।নায়েব নাজির মিজানুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতির জমি দখল করতে এসে পাহারাদারকে মারধর ও ভাংচুর করে তারা।