লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কার্ড বাতিল এবং গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের দায়ে শনিবার দুপুর ক্ষুদ্ধ ভোক্তভুগীরা ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের কক্ষে চেয়ারম্যান মাহেনারা পারবিন ও সংরক্ষিত মেম্বার রেশমা রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর গরীব অসহায় পরিবারে বাতিল হওয়ায় কার্ড এবং বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে নেওয়ায় টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গিকার করলে চেয়ারম্যান-মেম্বার মুক্ত হয়। উপস্থিত ভোক্তভুগী গ্রামবাসীদের মধ্যে দাসপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র শ্যাফালী বেগম,রুব্বান বেগম,মিঠুনসহ কয়েকজন বলেন, লামচর ইউপির সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রেশমা রহমান হতদরিদ্র পরিবারে ঘর দেওয়ার নামে ৩ পরিবার থেকে ৭৫ হাজার,সড়কে কাজ করা ৬জন নারী শ্রমিকদের ৯০ হাজার,প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ডে ৫/১০ হাজার,খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ১০টাকা চালের কার্ড প্রতি ৫০০,বিধাব,বয়স্ক,মাতৃত্ব ও ভিজিডি কার্ড প্রতি ৩ হতে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করছে। টাকা নেওয়ার পরেও অনেককে কার্ড দেয়নি। সর্বশেষ তার চাহিদা মোতাবেক খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির কার্ডে টাকা না দেওয়ায় তিন ওয়ার্ডে ৪০টি কার্ড বাতিল করে প্রবাসী ও চাকুরীজীবি পরিবারে নতুন কার্ড প্রদান করে। ভোক্তভুগীরা স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানের ধারস্থ হয়ে কোন প্রতিকার পায়নি। শনিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের সাথে অভিযুক্ত রেশমা মেম্বার বৈঠক করছে এমন সংবাদে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো উপস্থিত হয়ে সচিবের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার রেশমা রহমান বলেন,আমি চেয়ারম্যানের নিদের্শে কয়েকটি কার্ড করার জন্য আইডি কার্ড জমা দিয়েছি। পুরাতন কার্ড বাতিল বিষয়ে কিছুই জানি না। দক্ষিন দাসপাড়া ওয়ার্ডের মেম্বার শামসুল ইসলাম গ্রামের মানুষদের উস্কানী দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হয়রানী করছে। উত্তর দাসপাড়া ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ হোসেন বলেন,রেশমা মেম্বার সড়কে কাজ করা শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়ার নামে ৬জন শ্রমিক থেকে ৯০ হাজার এবং ৩ পরিবারকে সরকারী ঘর দিবে বলে ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে। দক্ষিন দাসপাড়া ওয়ার্ড মেম্বার শামসুল ইসলাম বলেন,আমার ওয়ার্ডে ১৪/১৫ জন হতদরিদ্র পরিবারের ১০টাকা মুল্যের কার্ড সম্পুর্ণ আমার অঘোচরে বাতিল হয়েছে। লামচর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,সারা দেশের ন্যায় লামচর ইউনিয়নে নান কারণে ১৯১টি কার্ড বাতিল হয়েছে। গ্রাম পুলিশ কার্ডগুলো বিতরন করেছে। বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে যারা টাকা দিয়েছে,তারা লিখিত অভিযোগ করলে উর্ধতম কতৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।