বৃহৎ তিস্তা নদী মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুরণ,পূর্নবাসন এবং তিস্তা তীরবর্তি কর্মহীনদের জন্য প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন ও শিল্প কলকারখানায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ২শ ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তা পাড়ের মানুষ হাজার হাজার মানুষ। মানববন্ধনে কৈমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মহসিন আলী মাষ্টার সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য বলেন জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য বলেন ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম পাশা এলিচ, শৌলমারী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি রিপন আহাম্মেদ, ইউনিয়ন প্রজন্মলীগ সভাপতি সুমন কাজী, সহ-সভাপতি আবদুল বাকী, ইউপি সদস্য এনদাদুল হক, শৌলমারী বহুমুখি উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা এ টি এম কামরুজ্জামান কামু প্রমুখ। বক্তারা তিস্তা বাচাঁও, নদী বাচাঁও প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নদী বেষ্ঠিত কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠির কথা তুলে ধরে বলেন, প্রতি বছরে বন্যায় নদী আগ্রাসীরুপ নিয়ে নদীপাড়ের মানুষের সর্বস্ব কেরে নেয়। তাদেরকে নিয়ে স্থায়ী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি কোন সরকার। বর্তমান সরকার নদী বেষ্ঠিত জনগোষ্টির কথা বিবিচনা করে যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার প্রশংসা করেন বক্তারা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় মহাপরিকল্পনা গ্রহন করায় দেশরত্ন মা আপনি মানবতার মা দেশীয় অর্থায়নে দেশের বৃহৎ স্বার্থে আপনি পদ্মা সেতুর মত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গর্বিত। ইতিমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্ত্রিত হয়েছে বাংলাদেশ। আপনার হাতেই নদী খনন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সেই মহাপরিকল্পনার ব্যবস্থাপনায় বাস্তবিক প্রস্তাবিত বাজেটে নদীমাতৃক জনগোষ্টির ভাগ্য উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। মহাপরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিত দিয়ে চেয়ারম্যান বাহাদুর বলেন, আমার উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের স্থায়ী পুর্নবাসন, ক্ষতিগ্রস্তদের শিল্পকলকারখানা নির্মানের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও তিস্তা তীরবর্তি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের ভুয়শী প্রশংসা করে তিনি। অর্থনৈতিক জোনে এ প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবিক ভুমিকা রাখলে নদীমাতৃক জনসাধারনের হৃদয়ে আশার আলো জ্বলবে। আমি মাননীয় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর আহবান জানাবো যাতে প্রস্তাবিত এ মহাপরিকল্পনা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।