অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে অবশেষে থামালো বেক্সিমকো ঢাকা। টানা চার ম্যাচ জেতার পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি প্রথম হারের মুখ দেখলো মোহাম্মদ মিঠুনরা। প্রথম লেগে ঢাকা ১০ রানে হেরেছিল চট্টগ্রামের কাছে। রোববার ৭ রানের জয়ে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামের জয়রথও থামালো মুশফিকুর রহিমরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রোববার দিনের প্রথম খেলায় মুশফিকুর রহিমের হার না মানা ৭৩ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা স্কোরে জমা করে ৪ উইকেটে ১৪৫ রান। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুক্তার আলী ও রুবেল হোসেনের চমৎকার বোলিংয়ের সামনে চট্টগ্রাম ৯ উইকেট হারিয়ে করতে পারে ১৩৮ রান। ১৪৬ রানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ওপেনিং জুটি শুরুতেই ধাক্কা খায়। কোনও রান না করতেই ফিরে যান সৌম্য সরকার। এরপর লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয় জুটি ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তারা ৪৭ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে শুরুর কিছু ম্যাচ খেলতে না পারা মাহমুদুল প্রথম ম্যাচে খেলেছেন ২৬ রানের ইনিংস। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় যুব বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এরপর মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দিকেই ছুটছিলেন লিটন। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। শর্ট থার্ডম্যানে দাঁড়ানো শফিকুল ইসলামের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন লিটন ৩৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৭ রান করে। তার আউটের পর মোসাদ্দেক হোসেন (১৩), মিঠুন (২১), শামসুর রহমানের (১০) চেষ্টা বিফলে যায়। শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের ছক্কায় ম্যাচ জমে উঠেছিল। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রানে থামতে হয় গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ ক্রিকেট খেলে চলা চট্টগ্রামকে। মুক্তার আলী ৩৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকার সেরা বোলার। এ ছাড়া রুবেল ২৪ রানে ২টি ও রবিউল ইসলাম ২৩ রানে নেন ২ উইকেট। এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করা ঢাকার টপ অর্ডার আবারও ব্যর্থ। ২৩ রানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ঢাকা। সেই বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করেন মুশফিক-ইয়াসির জুটি। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৮৬ রানের জুটি। ইয়াসির ৩৪ রানে আউট হলেও উইকেট আঁকড়ে ব্যাটিং করেন মুশফিক। অধিনায়ক মুশফিক পেয়েছেন টুর্নামেন্টের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। দারুণ সব শটে খেলেছেন অপরাজিত ৭৩ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। ৫০ বলের ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। আকবর আলী ৯ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের নাহিদুল, শরিফুল, রাকিবুল ও মোস্তাফিজ প্রত্যেকে নেন একটি করে উইকেট।