পাবনার সুজানগরে বিয়েপাগল সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজানকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও সুজানগর উপজেলা প্রশাসন। বিশেষ করে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা মিজান তার বর্তমান কর্মস্থল সুজানগরে তৃতীয় বিয়ে করার পর তার প্রথম স্ত্রী ৩সন্তানের জননী ও অন্তঃসত্ত্বা মিলি খাতুন উপজেলা পরিষদে এসে এ নিয়ে তার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হলে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা প্রশাসন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান যখন যে কর্মস্থলে যোগদান করেন সেই কর্মস্থলেই একটি করে বিয়ে করেন। আর যখন এ নিয়ে এলাকায় এবং অফিস-আদালতে জল্পনা-কল্পনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে তখন তিনি ঐ বৌ ছেড়ে দেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথমে তিনি পাবনার শানিকদীয়া গ্রামে বিয়ে করেন। এরপর তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চাকরি করাকালীন এক কলেজ ছাত্রীকে নানা সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন। এ নিয়ে ঐ কর্মস্থলে অনাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তিনি তাকে ছেড়ে দিয়ে সেখান থেকে বদলি হয়ে সুজানগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করেন। ওই অফিসে যোগদানের কিছুদিন পর তিনি তার পূর্ব অভ্যাস সংবরণ করতে না পেরে উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কালাম মন্ডলের অনার্স পড়-য়া মেয়ে ঝর্ণা খাতুনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে ভালবাসার সর্ম্পক গড়ে তোলেন। বিষয়টি জানা-জানির একপর্যায়ে তিনি ঝর্ণা খাতুনকে তৃতীয় স্ত্রী হিসাবে বিয়ে করেন। এ ঘটনা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানের প্রথম স্ত্রী ওই মিলি খাতুন জানার পর তিনি সম্প্রতি তার পাবনার বাসা থেকে সুজানগর উপজেলা পরিষদে আসেন এবং এ নিয়ে স্বামী মিজানের সাথে প্রচ- ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হন। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যায়ে গড়ালে একপর্যায়ে মিজান তার তৃতীয় স্ত্রী ওই ঝর্ণা খাতুনকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তবে তিনি ঝর্ণাকে ছেড়ে দিলেও সম্প্রতি অন্য জায়গায় ঝর্ণার বিয়ে হতে নিলে তিনি তাকে স্ত্রী দাবি করে ঐ বিয়ে ভেঙে দেন। এতে ঝর্ণার পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে এসে বিয়েপাগল মিজানকে লাঞ্চিত করেন। এসব খবর জানা জানি হলে উপজেলার সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিশেষ করে একজন সহকারী শিক্ষা অফিসারের এহেন হীন, গর্হিত এবং বিবেক বর্জিত কর্মকা-কে মানুষ ধিক্কার জানায়। এতে উপজেলায় শিক্ষা অফিসের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের সকল বিভাগ এবং দপ্তর বিব্রতকর অস্থায় পড়েন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী বলেন ওই শিক্ষা অফিসারের নিন্দনীয় ঐ কর্মকা-ের বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল জব্বার বলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানের একাধিক বিয়ের খবরে আমি বিব্রত। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।