ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় বিএডিসির বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ একর ধানী জমিসহ লক্ষ লক্ষ টাকার পুকুরের মাছের তলিয়ে যায়। এতে প্রায় শতাধিক কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন এ ঘটনায় অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায়।এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
আশুগঞ্জ বিএডিসি অফিস জানায়, মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় ঢাক-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলারসোহাগপর গ্রামের আব্বাস উদ্দিন খান সড়কের নিকট মাটির বাঁধ ভেঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে আশুগঞ্জ বিএডিসির লোকজন বিএডিসির প্রধান স্লুইস গেইট বন্ধ করে দেয়।ততক্ষনে প্রায় ৭০/৮০ একর সদ্য লাগানো ধানী জমি পানিতে তলিয়ে যায়।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, বিএডিসির বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ একর ধানী জমি।এখন তারা নতুন করে এসব ধানী জমি লাগানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন। বিএডিসির পানিতে তলিয়ে যাওয়া যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জামাল চৌধুরী বলেন,বিএডিসির বাধভেঙ্গে কৃষি জমিসহ আমার পুকরের অন্তত ৬/৭ লক্ষ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে।এতে আমি এখন নি:সহ হয়েে পড়েছি।আমি এ বিষয়ে সরকারের কাছে আমি আমার ক্ষতিপুরদ দাবী করছি।ক্ষতিপুরন না পেলে আমার পরিবার পরিজন নিয়ে ্একবারে রাস্তায় নামা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটায় সোহাগপুর এলাকায় মাটির বাধভেঙ্গে বিএডিসির খালের পানি কৃষি জমিতে প্রবেশ করে ধানী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আশুগঞ্জ বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন,আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করার কাজ শুুরু করে দিয়েছি।আশা করছি বুধবারের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারব। তবে কি পরিমান ধানী জমি এবং পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল কাশেম বলেন,ফোরলেনের কাজ করছে ভারথীয় এফকন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠিন,তারা বি¦েিেডসির ড্রেইন পরিস্কার না করে ড্রেইনে মাটি ভরাট করে পানি সরবরাহের পথ সরু এবং রুদ্ধ করে ফেলায় এদুর্ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ^াস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে এই আশ^াস দেন যে,কৃষকদের বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবেন।