সিঙ্গাপুর প্রবাসী মনিরুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে ঘেরাবেড়া ও সিমেন্টের পিলার ভাংচুর, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারতে উদ্যতসহ জীবন নাশের হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৩ ও ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় সদর উপজেলার জোড়দিয়া পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে এবং আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
সদর থানায় দায়েরকৃত জিডি, আদালতে উপস্থাপিত মামলার আরজি ও ভুক্তভোগির পরিবারের সদস্যরা জানান, জোড়দিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দীন সরদারের পুত্র মোক্তার আলী সরদার জোড়দিয়া মৌজায় আরএস ৪৬৪ ও ৪৬৬ চুড়ান্ত প্রকাশিত খতিয়ানে, আরএস ৪২০৬, ৪২০৭ ও ৪২০৮ দাগে ১৩ শতক (বাগান, ডাঙ্গা ও বাস্তু) জমি ক্রয় করেন প্রবাসীর স্ত্রী মোছাঃ নূর নাহার পারভীন। গত ৯/০২/২১ তারিখ ১৪৪৮ নং রেজিঃ কোবালা দলিল মূলে খরিদ করে বিক্রেতা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমিন দ্বারা মাপজরিপ করে পাকা পিলার দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে ভিটে বাড়ির সাথে একলপ্ত করে নেন। সম্পত্তি সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষনের জন্য গত ৯/০৩/২১ তাং ২২৭০ নং হেবা মূলে স্বামীর বরাবর হস্তান্তর করেন। তপশীল সম্পত্তির কিছু অংশ নিচু থাকায় সেথানে পুকুর খনন করে মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন। খনন কাজের প্রায় শেষ পর্যায়ে ১৪ মার্চ সকালে একই গ্রামের মৃত ইমান আলির পুত্র মইনুর, জয়নুল, জয়নুলের পুত্র হাবিবুর, স্ত্রী আনোয়ারা তাদের জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতে উদ্যত হয়। জমি জবর দখল, বাড়ি ভাংচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজত খাটানোর হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে নূর নাহার পারভীন বাদী হয়ে ঐদিনই থানায় জিডি (নং ৮২৫) করেন। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নানাভাবে আস্ফালন ও জীবন নাশের হুমকী দিতে থাকে। এরই জের ধরে ১৫ মার্চ সন্ধ্যা রাতে মইনুর, জয়নুল, হাবিবুর, আনোয়ার ও হাসানুর (পল্টু)সহ তাদের সহযোগিরা বাড়িতে ঢুকে পিলার ও নেটের ঘেরাবেড়া ভাংচুর ও উপড়ে ফেলায়। স্বামী বিদেশে থাকায় অসহায় নূর নাহার এগিয়ে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারতে তেড়ে আসা, জীবন নাশের হুমকী দিয়ে তোর স্বামী বিদেশে থাকে অনেক টাকার মালিক বলে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ফলে প্রবাসীর স্ত্রীসহ পরিাবরের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আইন আদালতের কাছে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানানো হয়েছে।