সারা দেশের ন্যায় ২য় পর্যায়ে রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় ৬২৩টি দৃষ্টিনন্দন গৃহের নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ১ম পর্যায়ে ২৬৮টি গৃহ নির্মান সম্পন্ন করে উপকার ভোগীদের নিকট হন্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০ জুন ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও দৃষ্টিনন্দন গৃহ প্রদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব শিল্পী রানী রায়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন মিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলসহ জেলার পদস্থ কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবার প্রতি ২শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মানের মাধ্যমে পুণর্বাসন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১০ উপজেলায় নির্মিত ঘর উপকারভোগীদের নিকট ২৩ জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে ২৬৮টি গৃহ নির্মান করে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ৬০টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৩০টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৬২টি, বরকল উপজেলায় ১৯টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩৫টি, লংগদু উপজেলায় ৩৪টি, এবং নানিয়ারচর উপজেলায় ২৮টি গৃহ নির্মান করে উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবার আগামী ২০ জুন ২য় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের মাধ্যমে ১০ উপজেলায় সর্বমোট ৬২৩টি গৃহের নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় ১৫৬টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৩৫টি, রাজস্থলিতে ১৭৭ টি, বাঘাইছড়িতে ৪৫টি, লংগদুতে ৯১টি, নানিয়ারচর উপজেলায় ৩টি, জুরাছরিতে ১০টি, বিলাইছড়িতে ৩৭টি এবং কাউখালীতে ৬৯টি গৃহ নির্মান করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০ জুন উদ্বোধনের পর পরই ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও নির্মানকৃত গৃহ বুঝিয়ে দেয়া হবে।