আর মাত্র কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। এই ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের লালপুরের কামাররা। লকডাউন শিথিল হওয়ায় তারা কুরবানীর গোশত কাটার কাজে ব্যবহৃত দা, ছুড়ি, বটি তৈরি ও মেরামত কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এখানে পশু জবাই ও গোশত তৈরীর কাজে বিভিন্ন দাম, নাম আকারের ছুরি নতুন তৈরি করছেন।
প্রতিটির দাম ৫০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তাদের ব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ে। উপজেলার কলেজ মোড় কামার পল্লীর নব কর্মকার ৪৫ বছর যাবত এই কাজ করছেন। পৈতৃক এই পেশায় এখন ছোট ভাইসহ আরো দুই ছেলে এ কাজে তাকে সাহায্য করছেন। মোহরকয়া গ্রামের সোনা কর্মকারের বয়স ৭০ বছর। তিনি প্রায় ৫০ বছর ধরে এ পেশায় রয়েছেন। তার ছেলে নাতিরাও এই পেশায় রয়েছেন। কথা হয় লালপুর ছয়মাথার সুজন কর্মকারের সাথে। তিনি জানান, একজন কারিগর নিয়ে প্রায় মাস ধরে কোনো ফুরসৎ পাচ্ছিনা। লকডাউন শিথিল হওয়ার সাথে সাথে এলাকার পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। যারা ইতোমধ্যে কুরবানীর পশু কিনেছেন এবং কিনবেন তাদের অনেকেই পশু জবাই ও গোশত তৈরি জন্য এসব অস্ত্র সংগ্রহ করতে ভিড় করছেন কর্মকার পল্লীতে। উপজেলার বুধপাড়া গ্রামের মাহমুদ হাসান এবার কুরবানীতে একটি ছাগল কিনেছেন। তার কুরবানীর গোশত তৈরীর জন্য তিনি কামার পল্লীতে অস্ত্র মেরামত করার জন্য গিয়েছিলেন। সারা বছর কাজ কম থাকলেও এ সময় তারা বেশ ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন।