আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা সরকারি গোরস্থানের গত ৪ বছর ধরে ক্ষুধা ও রোগ যন্ত্রণায় কাঁতর ভূমিহীন আবদুর রহমানকে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি, কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান। রোববার (২৫ জুলাই) তাদের কাছে এ সহায়তা পৌছানো হয়।
আঃ রহমান ছোটখাট চাকুরির সুবাধে ঢাকায় থাকাবস্থায় এক দুর্ঘটনায় মারত্মক ভাবে আহত হয়। বর্তমানে তিনি প্রতিবন্ধী সর্বশ্ব হারা হয়ে বিধবা মাকে নিয়ে চার চারটি বছর বিছানায় শুয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সংসার খরচ, চিকিৎসা খরচ যোগানোর কোন উপায় নেই তাদের। তাই এখন অসুস্থতা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা তাদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। ক্ষুধার জ¦ালার পাশাপাশি রোগ যন্ত্রণায় কাঁতর হয়ে পড়েছে সে। প্রস্রাব করাতে হয় নলের সাহায্যে। যন্ত্রণাদায়ক কারণ হয়ে তার সঙ্গী হয়ে রয়েছে, টয়লেট করা। টয়লেটের কোন মানুষকে দু’টি পা দিয়ে তার পেটের উপরে দাঁড়িয়ে চাপ দিলে তার টয়লেট হয়! এ যন্ত্রণা কেউ কখনো দেখেছেন কিনা তা আমাদের জানানেই। এরিপোর্ট রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন ব্যক্তি, কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান তার সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।
যার মধ্যে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন ২০০০ টাকা, আশাশুনি থানার সাবেক ওসি গোলাম কবির ১০০০ টাকা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি ১০০০ টাকা, মালায়েশিয়া প্রবাসী ৪০০০ টাকা, স্থানীয় ৩ ব্যক্তি ১৫০০ টাকা এবং স্বপ্নসিঁড়ি নামে একটি সংগঠন তাদের এক মাসের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার একটি সরকারি বাড়ির ব্যবস্থা ও চিকিৎসার জন্য আরও খরচের সংস্থান করতে চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা এবং আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার জানান, তার চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিতে হবে। এজন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন। অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইলে ০১৮৭৭৪৩৫১১৮ মোবাইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানান হয়েছে।