রাজশাহীর বাঘায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান ও বিএনপি’র নেতা আশরাফ আলী মলিনের বাড়িতে পৃথকভাবে দুটি ককটেল বিস্ফোরন করা হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বাউসা টলটলিপাড়া বাউসা গ্রামে এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফান ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আশরাফ আলী মলিনের বাড়িতে পৃথকভাবে দুটি ককটেল বিস্ফোরন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল বিম্ফোনের আলামত দেখেন। তবে এই ককটেল বিম্ফোনের ঘটনায় কেউ কোন হতাহত হয়নি।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর মোহাম্মদ তুফানের স্ত্রী রোজিনা আক্তারী জানান, সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকজন মোটরসাইকেল সোডাউন নিয়ে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ককটেল বিস্ফোরন করে চলে যায়। তারপর পুলিশকে কয়েক বার ফোন করা হলেও ফোন রিসিফ করেনি।
আশরাফ আলী মলিনের স্ত্রী পলি খাতুন জানান, আমরা বিএনপি করি। বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেনা। আমরা কাউকে সহযোগিতাও করছিনা। কারপরও কথায় কি হামলা হলো, আমার স্বামীকে আসামি করা হয়েছে। আমরা কি করবো। আমার বাড়ি পাশে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আ.লীগ করেন। তাদের দলের মধ্যে কি দ্বন্দ্ব আমরা জানিনা। আমার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরন করা হয়েছে। ঘটনাটি তাৎক্ষনিক পুলিশ জানালে ঘটনাস্থলে এসে ককটেল বিম্ফোনের আলামত দেখেন।
এ বিষয়ে সরকার দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক জানান, আমি দুপুরে নেতাকর্মী নিয়ে দিঘা ও ঘাগড় বাড়িয়া এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। যে এলাকায় ককটেল বিম্ফোনের ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকা থেকে আমি প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে ছিলাম। তবে কেউ সুবিধা নেওয়ার জন্য আমার উপর দোষ চাপানোর জন্য চেষ্টা করছে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ককটেল বিম্ফোনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কেউ সুবধা নেওয়ার জন্য এমন ঘটনা করেছেন কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।