বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমন ধান কাটামাড়াইয়ের পর জমিতে ইরি-বোরো ধান লাগানোর প্রস্তুতি চলছে। এ আবাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রস্তুতি বীজতলা তৈরির কাজ। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এজন্য এরইমধ্যে সাড়ে ৭’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত। এসব এলাকার চাষীরা জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে ইরি-বোরো মৌসুমে উল্লেখযোগ্য আবাদ হলো বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। ফুলবাড়ী, ভেলাবাড়ী, নারচী, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, কামালপুর ও সদর ইউনিয়নের আংশিক এলকায় ইরি-বোরো আবাদ চাষ করে থাকেন চাষীরা। ইদানীং চরের উর্বর জমিতে চাষীরা স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করার পাশা-পাশি উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ করে থাকেন চরের অনেক চাষী। এজন্য চাষীরা ইতোমধ্যেই বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করেছেন। চাষীরা বলছেন, আমাদের বীজতলায় চারাগাছের বয়স হয়ে গেলো প্রায় ২০-২৫ দিন। একটু আগাম হয়েছে ঠিকই, কারণ ভয়াবহ শীতের সময় অল্প বয়সের ইরি চারা গাছ প্রচন্ড শীতে কোল্ড ইঞ্জুরী দেখা দেয়। যে কারণে ইরি-বোরো বীজতলা চারাগাছের অনেক ক্ষতি সাধন হয়। ক্ষতিগ্রস্থ দুর্বল চারা জমিতে লাগালে ভালো ফলন আশা করা যায়না। ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ইরি-বোরো চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবার ১২ বিঘা জমিতে ইরির আবাদ করার জন্য বি.আর-২৮, ২৯, ৯২ জাতের ধানের আমার প্রয়োজনীয় পরিমাণ বীজতলা তৈরি করেছি। এখন পর্যন্ত বীজতলায় চারাগাছের মান খুবই ভালো। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবদুল হালিম বলেন, আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় ১৪ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্র্ধারন করা হয়ছে। এজন্য ৭’শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষীরা বি.আর-২৮, ২৯, ৯২, ৮৪, ৭২ ও ৫২ জাতের ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। আশা করছি কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ইরি-বোরো আবাদ করে অধিক পরিমান লাভোবান হবেন। এজন্য আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।