সাধারণত নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই দেশে শীতের আমেজ আসে। পৌষের শুরু থেকেই কালীগঞ্জে মোটামুটি শীত জেঁকে বসেছে। প্রতিদিনই কমে আসছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা। এ কারণে কালীগঞ্জ উপজেলার সরকারি হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়েছে রোগীর চাপ। গত ৩ দিনে ৫২ জন বয়স্ক ও শিশু রোগী কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বেশিরভাগ রোগীই ঠান্ডা-জ¦র, শ্বাসকষ্ট,ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেকেই মেঝেতে নিজেদের বেড বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, এখন দেশে পরিপূর্ণ শীত জেঁকে বসেছে। এ সময়ে বয়স্ক ও শিশু উভয়ের ক্ষেত্রে শ্বাসযন্ত্রজনিত রোগের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি হয়। কারণ এ দুই বছচর বয়সের শিশুরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। শিশুদের শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত গরম কাপড়সহ হাত-পায়ে মোজা পরিয়ে রাখতে হবে। কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। গোসলসহ সব ক্ষেত্রে কুসুমগরম পানি ব্যবহার করতে হবে।তিনি আরো বলেন বর্তমানে আমাদের হাসপাতলে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যায় বেশি। আর বাড়তি এ রোগীর চাপ সামলাতে আমরা কিছুটা হিমশিম খেলেও সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।