করোনার বৈশ্বিক অতিমারিতে বিপর্যস্তবিশ্বে স্তম্ভিত শিক্ষাঙ্গন। অনলাইন পদ্ধতিতে চলমান শিক্ষাগ্রহণে শিক্ষার্থীরা এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে এবং সরাসরি ফলাফল অর্জন করে উল্লসিত ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে একযোগে সকল বোর্ডের এসএসসি, দাখিলসহ সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ হাজার ৩ শত ৩৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ৫ হাজার ২ শত ৪৩ জন। পাশের হার শতকরা ৯৮ ভাগ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩ শত ৩১ জন। কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সিরাজুল হক স্কুল এ- কলেজ, এম. এন জাকারিয়া টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়, সোনার বাংলা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক উচ্চবিদ্যালয় ও হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয় থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। কসবা পৌর উচ্চবিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ৩৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দাখিল পরীক্ষায় কসবা উপজেলার ২৩ টি মাদ্রাসা থেকে ১ হাজার ১ শত ৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে পাস করেছে ১ হাজার ১ শত ২০ জন। পাশের হার শতকরা ৯৪ ভাগ। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ জন। আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদিয়া কামিল মাদরাসা, মঈনপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ও কসবা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আড়াইবাড়ী ইসলামিয়া সাঈদিয়া কামিল মাদরাসা থেকে সর্বোচ্চ ২০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে অংশগ্রহণ করে মেহারী ওবায়দিয়া কারিগরি মাদ্রাসা থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৭ জন পাস করেছে। পাসের হার শতকরা ৯৪ ভাগ। এদের মধ্যে ১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাফর আহমেদ জানান, করোনার কারণে গতবার এসএসসি ও দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রুপের ৩টি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় কসবা উপজেলার সার্বিক ফলাফল সন্তোষজনক।