যশোর-চুকনগর সড়কের মাঝে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়নের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ স¤পন্ন হলেও ওই গাছ অপসারণ না করায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা।
যশোর সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোরের রাজারহাট থেকে চুকনগর পর্যন্ত এ সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার। সড়কটি যশোর সদরের রাজারহাট থেকে জেলার মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা হয়ে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের চুকনগরে গিয়ে মিশেছে। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে ট্রাক, ঢাকাগামী বিভিন্ন পরিবহন ও অন্যান্য শত শত যানবাহন এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন জেলায় চলাচল করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের সংস্কার ও প্রশস্থকরণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এর উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। এ কাজের শেষ সময়সীমা ছিল গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর। ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ স¤পন্ন করতে না পারায় ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গাছের মালিকানা দ্বন্দ্বে গাছ রেখেই সড়কের কাজ চলমান রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সড়কের মাঝে গাছ রেখেই সড়ক সংস্কার ও প্রশস্থকরণের কাজ চলমান থাকায় বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের শাহীনুর রহমান বলেন, সড়কের মধ্যে গাছ থাকায় রাতে চলাচলের সময় দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কের মাঝে থাকা ওই গাছগুলি জেলা পরিষদের। সড়ক থেকে গাছ অপসারণের জন্য জেলা পরিষদ দরপত্র আহ্বান করেছেন বলে জানিয়েছেন।
যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান বলেন, দরপত্র আহ্বান করা হলেও ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ না করায় পুনরায় সড়কের ওই গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।