সৈয়দপুরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের পাঁচমাথা মোড়ে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই আ.লীগ নেতা সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর ৯ মার্চ উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আহত নেতা উপজেলা আ.লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। রংপুরের আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক দাবানলে তিনি কর্মরত এবং ঢেলাপীর হাটের ইজারাদার।
আহত আ.লীগ নেতা আবদুল মোতালেব হক বলেন, শুক্রবার ছিল ঢেলাপীর হাট। আমি হাট শেষে হিসাব নিকাশ করে টাকা নিয়ে বাসা ফেরার পথে শহরের পাঁচমাথা মোড়ে ফলের দোকানে দাঁড়িয়ে বাচ্চার জন্য ফল কিনছিলাম। এ সময় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌরসভার ঠিকাদার মো. আসাদ,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নজির হোসেন, পৌর কর্মচারী শামীম হোসেন, আরিফুল আনোয়ার সুমন ও ভাড়াটে মোখলেছসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন এসে কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাকে ঘিরে ফেলে কিলঘুষি, চরথাপ্পর মারতে শুরু করে। মারপিট করে রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। এ সময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে ঘটনাস্থলে থাকা পাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর আমার চেতনা ফিরে আসলে আমি দেখতে পাই আমার প্যান্ট ও শাটের পকেটে থাকা পাঁচ লাখ টাকা নেই। ওই টাকাও তারা বের করে নিয়ে গেছে। আমি সুস্থ হলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এদিকে যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আসাদ বলেন, ঘটনার সময় আমি আবদুল মোতালেব হককে বলি যে, ভাই তুই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কেন দাবানল পত্রিকায় নিউজ করেছ, এ কথার প্রতি উত্তরে সে আমাকে বলে যে, আমাকে এক লাখ টাকা দাও, টাকা দিলে আমি আর কোন নিউজ করবো না। এ কথা নিয়ে তর্ক বিতর্ক বেধে গেলে উভয়ের মাঝে ধাক্কা ধাক্কি হয়। কোন মারপিট করার ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনিও হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করবেন বলে জানান।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসানাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।